দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম টানেল চট্টগ্রামে
প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০২
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। একইসাথে এতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারও প্রথম টানেল। ২৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং কার্যক্রম এবং লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কর্ণফুলী টানেল ও চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে পতেঙ্গার সাগরপাড়ে সভামঞ্চে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
সুধী সমাবেশে চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর যুক্তি ছিল সেতু করা হলে নদীতে পলি জমবে, তাই টানেল করা হোক। আজ তাকে স্মরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধ, আন্দোলন-সংগ্রামে তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। আরেকটি কাজ করে দিচ্ছি লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে। শহরে যানজট কমানোর জন্য বাইপাস করে দিচ্ছি। টানেল নির্মাণ হলে চট্টগ্রামে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়ন হবে। বাংলাদেশের জন্য এ প্রকল্পে শতভাগ ঋণ সহায়তা দিয়েছে চীন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ নামে শতবর্ষের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছি। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ। আমাদের প্রজন্ম উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশে তা উদযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "আমার জীবনে কোনো কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে এসেছি। আমার বাবা সারাটা জীবন এ দেশের জন্য কষ্ট করেছেন। আমার মাও কষ্ট করেছেন। তারা এদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এ দেশের কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষ শিক্ষা পাবে এটা বাবা চাইতেন। আমরা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচবে এ দেশের মানুষ। দুর্ভিক্ষের দেশ বলে বদনাম ছিল। বিশ্বের বিস্ময় হবে বাংলাদেশ"।