কান্না ও অপেক্ষার মাঝে ঢামেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১১
রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) থাকা যেসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ইমরুল হাসান মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যাদের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের পর হস্তান্তর করা হবে।
ইমরুল হাসান আরো জানান, মরদেহ সমাহিত করার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর শুরু হয়। তবে মরদেহ শনাক্তের পরেও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতদের স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
এলাকাবাসী বলছেন, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম।
বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা দেড়টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই অগ্নিকণ্ডে ৭৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও পাঁচটি শিশু রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। নিহতদের অধিকাংশকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ; খোঁজ নেই অনেকের।