'বাংলাদেশের নাগরিক নন শামীমা'
প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৭ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:০১
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন। তিনি জন্মগতভাবেই যুক্তরাজ্যের নাগরিক। ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দিনগত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শামীমা বেগমকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই, শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক নন। তিনি জন্মসূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এছাড়া বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য শামীমা কখনো আবেদনও করেননি। তিনি কখনোই বাংলাদেশে আসেননি। যে কারণে তাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। সব ধরনের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে ২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে আরও দুজন বান্ধবীসহ সিরিয়ায় পাড়ি জমান শামীমা বেগম। সেখানে শামিমা নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। ওই যোদ্ধা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
গত সপ্তাহে শামিমা বেগমকে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে খুঁজে পাওয়া যায়। আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি বাঘুজ থেকে পালিয়ে তিনি ওই শিবিরে আশ্রয় নেন। সেখানেই তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
শামীমা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আইএস এ যোগ দেয়া নিয়ে অনুতপ্ত নন শামীমা। তবে তিনি তার সন্তানের নাগরিকত্বের জন্য বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাচ্ছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই শামিমা বেগমের। তিনি কখনও বাংলাদেশেও আসেননি।