স্বামীর প্রতারণা, স্ত্রীর পরিকল্পিত খুন
প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:২৭ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২৩:১৮
প্রতারণার অভিযোগে বিয়ের চার মাসের মাথায় স্বামীকে গলা কেটে খুন করেছেন স্ত্রী। এই ঘটনায় আশা আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্বামী মোঃ শামীমকে খুন করার পাঁচ দিনের মধ্যে বগুড়া থেকে আশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে।
বুধবার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কুসুম দেওয়ান বলেন, "এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে চার মাস আগে বগুড়ার আশা আক্তারের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. শামীমের প্রেম ও তারপর বিয়ে হয়। বিয়ের পর আশা আক্তার জানতে পারেন, শামীম আগেও বিয়ে করেছেন এবং তার দুইটি বাচ্চা আছে। সেই ক্ষোভ থেকে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। শামীমকে বগুড়াতে রাখার জন্য আশা আক্তার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইক কিনে দেন। কিন্তু শামীম আশা আক্তারকে না বলে চট্টগ্রাম চলে আসায় আশার ক্ষোভ আরও বেড়ে যায় এবং তিনি খুনের পরিকল্পনা করেন।
ডিআইজি কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘শামীম ফোনে আশা আক্তারকে চট্টগ্রাম চলে আসার জন্য বললে তিনি রাজি হয়ে যান। কিন্তু আশা আক্তার আগে কখনও চট্টগ্রাম আসেন নি বিধায় ১৬ ফেব্রুয়ারি শামীম গিয়ে আশা আক্তারকে নিয়ে আসেন এবং চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় উঠেন। সেদিনই বাসা ভাড়া নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শামীমকে ঘুমের মধ্যে খুন করে বগুড়া পালিয়ে যান আশা।
এসআই অর্ণব বড়ুয়া জানান, "বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য বাড়ির মালিকের মেয়েকে মোবাইলে কল করেছিলেন শামীম। সেই নাম্বারের সূত্র ধরেই শামীমের পরিচয় জানা যায়। শামীমের পরিবারের কেউ আশা আক্তারকে না চিনলেও শামীমের সঙ্গে এক মেয়ের মোবাইল ফোনে কথা হয় এমন তথ্য পুলিশকে জানান তারা। পরে শামীমের সঙ্গে কথোপকথনের সূত্র ধরে শনাক্ত করা হয় আশা আক্তারকে। এরপর দুইদিন বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই অর্ণব বড়ুয়া আরো জানান, "হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি ও রক্তমাখা কাপড় বগুড়ায় আশা আক্তারের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরিটি বগুড়া থেকেই কিনে নিয়ে এসেছিলেন আশা আক্তার"।
বুধবার দুপুরে আশা আক্তারকে আদালতে তোলা হয়। খুনের অভিযোগ স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে আশা আক্তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ।