শেবাচিমে উদ্ধার হওয়া ৩১ মানবভ্রুণের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৩

অনলাইন ডেস্ক

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ময়লার স্তূপে উদ্ধার হওয়া ৩১ মানবভ্রুণের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আকবর হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি ঐ মানবভ্রুণগুলোর ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. সৈয়দ মাকসুমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কমিটি গঠনে বিলম্ব এবং আলোক সল্পতার কারণে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্ত করার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে দেয়া হয়। তবে মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গের রেফ্রিজারেটরে যথাযথ নিয়মে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ফিটাস গুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেহাবশেষগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় সৎকার করা হবে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী মিরাজ হাওলাদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত পৌনে ৯টার দিকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ৩১ মানবভ্রুন ডাস্টবিনে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় খুঁজে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। হাসপাতালের এক ওয়ার্ড মাস্টার জানিয়েছেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যবহারিক কাজে এসব মরদেহ সংরক্ষণ করার কথা। এ ঘটনায় শেবাচিম হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ জাহান বেগম এবং ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ জোৎস্না আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।