পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়েই তাহিকে ধর্ষণ ও হত্যা
প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:০১
পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে মাত্র পাঁচ বছরের শিশু তাফানুম তাহিকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে কিশোর রিফাত (১৬)। তাহি ও রিফাত সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। ৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাতে টঙ্গী বোর্ডবাজার এলাকা অভিযান চালিয়ে রিফাতকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, রিফাতের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাহির বাবা হুমায়ুন কবির তাদের নিজের বাসায় থাকার জায়গা করে দেন। বিনিময়ে রিফাতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হুমায়ুনের টার্কি খামার দেখাশোনা করতেন। রিফাত স্থানীয় উলুম মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল। ঘটনার দিন সেই টার্কি ফার্ম থেকে বাসায় ফেরার সময় তাহির সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয় রিফাতের। তাহি তার নানির কাছে যেতে চাইলে তাহিকে নানির কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে রিফাত। এ ঘটনায় তাহি কান্নাকাটি করতে থাকে এবং বাড়িতে বলে দেবে বললে পাশে পড়ে থাকা একটি ইট দিয়ে মাথা থ্যাঁতলে তাহিকে নির্মমভাবে হত্যা করে রিফাত। এরপর সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রিফাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন শিশু তাহির মা আবিদা সুলতানা ও বাবা মো. হুমায়ূন কবীর।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন শরীফপুর এলাকায় কাশবন থেকে পাঁচ বছরের শিশু তাহির লাশ উদ্ধার করা হয়। তাহি স্থানীয় মাতৃছায়া আইডিয়াল স্কুলের নার্সারি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।