‘দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো’

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:২৬

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক 'কালো ব্যাধি'র মতো ছড়িয়ে আছে মন্তব্য করে এসব সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০ জানুয়ারি (রবিবার) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সমস্ত ‘কালো ব্যাধি’ থেকে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের সমাজে যে সমস্যাগুলো আছে, তার মধ্যে দুর্নীতি কালো ব্যাধির মতো ছড়িয়ে আছে। দুর্নীতিই একটা কালো ব্যাধি, এটা সমাজের অগ্রগতি যথেষ্ট ব্যাহত করে। সেক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে"।

মাদক সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, "মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মাদকমুক্ত করা, মাদক কারা আনে, তৈরি করে, পাচারকারী, সরবরাহ করে, কারা মাদক সেবন করে বা দেয়- তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা মাদক সেবন করে শুধু তারাই নয়, যারা মাদক আনে, তৈরি করে, সাপ্লাই দেয় তাদেরকেও ধরতে হবে। আর যারা সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরতে চাইবে তাদের সেই সুযোগ করে দিতে হবে"।

নতুন নতুন সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে জনগণকে সম্পৃক্ত করার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে বিগত সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, "ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ উভয়পক্ষই পায়। এটা হলো বাস্তবতা। বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে অপরাধীরা যেমন সুযোগ নেয়, যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। যারা অপরাধী তারা হয়তো আরও বেশি ভালো প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সেখানে আমাদের যারা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করবে তাদের আরও বেশি উন্নত মানের হওয়া দরকার। যেন সঙ্গে সঙ্গে অপরাধী শনাক্ত করা, গ্রেফতার করা এবং ব্যবস্থা নেওয়া যায়"।

তিনি বলেন, "উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি সেটা ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়"।
 
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, "যারা জনগণের নিরাপত্তা দেবে তাদের জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আস্থা বিশ্বাসটা তখনই অর্জন করতে পারবে, যখন তারা সঠিক সেবাটা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে"।