কমলগঞ্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৩৩
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কুরমা চা বাগানের ভেতরে কুরুঞ্জি চাবাগান এলাকা থেকে প্রায় চার লাখ টাকা মূল্যের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
১৯ জানুয়ারি (শনিবার) ভোর রাত সাড়ে ৫টায় চা বাগানের জগদীশ রাজধর এর বসতঘর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুরমা বিওপি’র সদস্যরা মূর্তি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিজিবি’র কুরমা বিওপি’র সদস্যরা ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরুঞ্জি গ্রামের জগদীশ রাজধরের বসতঘরে কষ্টি পাথর ক্রয় বিক্রয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
কষ্টি পাথরটি বসতঘরের কাঠের নিচে কালো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
বিজিবি কুরমা বিওপি’র হাবিলদার মো. জালাল আহমেদ জানান, কুরমা বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার কুরুঞ্জি গ্রামের জগদিশ রাজধর এর বাড়িতে একটি মূর্তি পাচারের উদ্দেশ্যে কেনা-বেচার জন্য দর কষাকষি চলছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কুরমা বিওপি সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মূর্তি পাচারকারীরা ঘটনাস্থলে মূর্তিটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর জগদীশ রাজধরের বসতঘরের কাঠের নিচে কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৩.৮৫০ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গলস্থ ৪৬ ব্যাটালিয়নে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অপরাধ করায় জগদীশ রাজধরের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার কর্তব্যরত অফিসার এএসআই সুশেন চন্দ্র দাস মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত মূর্তিটি থানা হেফাজতে রয়েছে। মূর্তিটির রং কালো, ওজন ৩.৮৫ কেজি এর উচ্চতা ১২.০৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ৫.৫ ইঞ্চি। উদ্ধারকৃত মূর্তিটির প্রত্মতাত্ত্বিক মূল্য ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল ব্যাটেলিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর সি কোম্পানি কুরমা বিওপি’র হাবিলদার মো. জালাল আহমেদ বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।