ফতুল্লায় আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ মা-মেয়ের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ মা ছায়া রানী (৬০) ও তার মেয়ে সুমিত্রার (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

২০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে ছায়া রানী এবং সকাল ১০টার দিকে সুমিত্রার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, আগুন লাগার ঘটনায় মৃত ছায়া রানীর শরীরের ৬০ শতাংশ এবং সুমিত্রার শরীরের ৩৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকা বাকি সাতজনের অবস্থাও আশংকাজনক।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোরে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা এলাকার কোতালেরবাগ হক বাজারের একটি তিনতলা বাসার তৃতীয় তলা নিবাসী ছায়া রানীদের বাসায় আগুন লাগে। এতে দগ্ধ হন একই পরিবারের নয় সদস্য। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।

বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- ছায়া রানীর ছেলে শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), তার স্ত্রী মতি অর্চনা (৩৪), তাদের মেয়ে অনামিকা (১৪), ছেলে অর্পিত (৯), শ্রীনাথের ভাতিজা প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০) এবং সুমিত্রার স্বামী নারায়ণচন্দ্র (৩৫)।

গত ১৯ ডিসেম্বর (বুধবার) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাসের ছিদ্র থেকে আগুন লাগার কোনো আলামত তারা পাননি। তবে যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত সেখানে মশাল কয়েল দেখা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পোড়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক সময় ধরে আগুন ধরেছিল।