স্ত্রী-সন্তানকে মেরে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ
প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:২৭
চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (২৫), শিশুকন্যা মিথিলা ফারজানা (৫) পুত্র সিয়ামকে (১) হত্যা করে মো. মাইনুদ্দিন (৩০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাইনুদ্দিন সরদার বাড়ির মিয়াজী সরদারের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে দুই শিশুকে লেপের নিচে, স্ত্রী ফাতেমার মরদেহ বাড়ির পুকুরে খুঁটির মধ্যে বাঁধা অবস্থায় এবং স্বামী মাইনুদ্দিনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী ধারণা করছেন, ফাতেমাকে বিষ খাইয়ে পরে তার মরদেহ খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে এবং দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে আত্মহত্যা করেন মাইনুদ্দিন।
মাইনুদ্দিনের মা ফিরোজা বেগম জানান, কয়েকদিন আগে পুত্রবধূর কানের দুল হারিয়ে গেলে মাইনুদ্দিন ও ফাতেমার মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মাইনুদ্দিন চট্টগ্রাম কাজে চলে যান। এরই মধ্যে ফাতেমার বাবার বাড়ির লোকজন এসে ফাতেমাকে নিয়ে যায়। দুল হারানোকে কেন্দ্র করে ফাতেমা বাপের বাড়ি চলে গেছেন, এটা জানতে পেরে গত ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি আসেন মাইনুদ্দিন এবং স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এসময়ও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
১৭ ডিসেম্বর ভোর ৪ টার দিকে মাইনুদ্দিনের ছোট ভাই মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে মা ফিরোজা বেগমকে জানান, নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের ভিডিও করে মাইনুদ্দিন ফেসবুকে মারা যাবেন জানিয়েছেন। শীঘ্রই যেন তাদের খোঁজ নেয়া হয়।
এরপরই মাইনুদ্দিনের ঘরে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পান তিনি। ১৬ ডিসেম্বর রাতে কোন এক সময় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিম উদ্দিন বলেন, মর্মান্তিক এই খবর পাওয়ার পর চাঁদপুরে পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহগুলো ময়না-তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যা রহস্যের জট খুলবে।