৬৬ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার
প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:১০
বাংলাদেশে নারীদের প্রতি তিনজনে দুইজন অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন।
৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ’ এবং ‘সেন্টার ফর জেনোসাইড’ স্টাডিজের যৌথ আয়োজনে ‘সহিংসতা ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারে উত্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এবং জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম-জেএনএনপিএফ যৌথভাবে ‘বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার উপর দৃষ্টিপাত: প্রবণতা এবং সমাধান’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার শিকার ৭২ শতাংশ নারী তাদের অভিজ্ঞতার কথা কাউকে বলেন না। মাত্র ২.১ শতাংশ নারী স্থানীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন এবং মাত্র ১.১ শতাংশ নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সহিংসতায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৩.১ শতাংশ নিজেদের পক্ষে বিচার পায়। বাকি ৯৬.৯ শতাংশ ভুক্তভোগীর অভিযোগ আদালতে শুনানির পর্যায়ে যায় না বা গেলেও বাতিল হয়ে যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন গবেষক আহমেদ ইব্রাহিম।
‘নগরাঞ্চলে সহিংসতা: ভালো কি মন্দ?’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ।
তিনি বলেন, জানুয়ারি ২০১৭ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে ২৮৩৯টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। এদের মধ্যে শুধু লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১৭৬টি, কিন্তু অধিকাংশ সহিংসতার ঘটনাই প্রকাশিত হয়নি।
এ সমস্যা সমাধানে তিনি আরও বলেন, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির পদ্ধতিকে প্রয়োজনে নতুনভাবে সাজাতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।