বাবাকে অপমান করায় ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:০০

জাগরণীয়া ডেস্ক

বাবার অপমান সইতে না পেরে আত্নহননের পথ বেছে নিয়েছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী। নিহত ঐ শিক্ষার্থীর নাম অরিত্রী অধিকারী (১৫)। সে ভিকারুননিসায় নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। 

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল অরিত্রীর। গত ২ ডিসেম্বর পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় নকলের অভিযোগ উঠে অরিত্রীর বিরুদ্ধে। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখা করতে বলে অভিভাবককে। ৩ নভেম্বর (সোমবার) অরিত্রীর মা ও ছোট বোনসহ স্কুলে গেলে প্রথমে প্রথমে ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করি। তিনি সেসময় অকথ্য ভাষায় অপমান করেন এবং রুম থেকে বের করে দেন। সেই সাথে অরিত্রীর টিসি নিয়ে যেতে বলেন। এসময় অরিত্রী ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চায় কিন্তু তিনি কোন কথা-ই শোনেননি। 

এরপর প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌসের সাথে দেখা করলে তিনি একইভাবে অপমান করেন এবং রুম থেকে বের করে দেন। সেই সাথে স্কুল থেকে টিসি নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। যুগপৎ অপমানে কেঁদে ফেলি আমি। বাবার অপমান সইতে না পেয়ে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের রুম ত্যাগ করে। বাসায় এসে দেখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে সে।

অরিত্রীকে সেসময় সাথে সাথে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ভিকারুননিসার প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস অরিত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে স্বজনদের তোপের মুখে পড়েন প্রিন্সিপাল। পরে তিনি দ্রুত হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। 

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, অরিত্রীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত