ক্রীড়া পরিষদে খেলোয়াড়কে ধর্ষণ

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:২৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ফেডারেশনের অফিস সহকারী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে এক খেলোয়াড়কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার জাতীয় ক্লাব ভারোত্তলনে সোনাজয়ী এক খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ট্রমার মধ্যে অবস্থান করছেন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্যাতিতা ভারোত্তোলকের মামা অভিযোগ করেন, খেলা থাকলে ঢাকার বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়েরা সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অবস্থান করে থাকেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর খেলা ছিল। এ উপলক্ষে ফেডারেশনে আসতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডাকা হয় ঐ খেলোয়াড়কে, দেয়া হয় চাকরির প্রলোভনও। ঐদিনই ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের চতুর্থ তলায় একটি রুমে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। পুরনো ভবনের ঐ রুমে তাকে ডেকে নিয়ে আসতে সহায়তা করেন কর্মচারী মালেক ও আরেকজন নারী ভারোত্তোলক।

এদিকে ঘটনার এতদিন পরেও কেন মামলা দায়ের করা হয়নি-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকলজ্জার ভয় আর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মামলার দিকে পা বাড়াননি খেলোয়াড়ের পরিবার।

এতদিন পর কীভাবে ঘটনা জানাজানি হলো সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলা শেষে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পরই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ঐ খেলোয়াড়। গত ১০ অক্টোবর তিনি বাড়ির পিছনে আত্মহত্যা করা চেষ্টা করলে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশিত হয়। এসময় তাকে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে গত ২৩ অক্টোবর ঢাকায় আনা হয়। সেই থেকে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সহসভাপতি উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তার চিকিৎসার জন্য আমরা আর্থিক সাহায্যও কিছু দিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগে থাকা সোহাগের চাকরি তদন্তকালীন স্থগিত থাকবে।

তবে অভিযুক্ত সোহাগ আজ থেকে লাপাত্তা রয়েছেন বলেও ফেডারেশন জানিয়েছে।

নির্যাতিতা ভারোত্তোলকের মামা জানান, তিনিই ভারোত্তোলক বানানোর জন্য ঐ খেলোয়াড়কে ফেডারেশনে নিয়ে আসেন। এই ঘটনায় নির্যাতিতা শুরুর দিকে প্রায় পাগলপ্রায় ছিলেন। এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত