প্রেমের কারণে মায়ের হাতে খুন হলেন মেয়ে
প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৫০ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৫
নোয়াখালীতে প্রেমের কারনে মায়ের হাতে প্রাণ হারালেন কলেজছাত্রী তাবাছসুম তানিয়া (২২)। তানিয়া জেলা শহর মাইজদীর পৌর বাজার সংলগ্ন জয়কৃষ্ণপুর এলাকার উকিল বাড়ির এনামুল হক হিমেলের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাহজাদা এনামুল হক হিমেল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-এনামুল হক হিমেলের মেয়ে তাসনিম তাহসিন চাঁদনী (১৯), তার স্ত্রী সাজেদা আক্তার নিপু (৪০), শ্যালক জাহিদুল ইসলাম সোহেল (৩০)।
আসামিদের মধ্যে চাঁদনীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিপু ও সোহেলের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
২৪ নভেম্বর (শনিবার) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, সহপাঠী তাপসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নোয়াখালীর সোনাপুর ডিগ্রি কলেজের অনার্স (সম্মান) হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তানিয়ার। গত ১১ নভেম্বর তানিয়ার বাবা এনামুল হক হিমেল এবং তার মা সাজেদা আক্তার নিপু ঢাকা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ট্রেনে করে রাতে বাসায় আসেন। এসময় বাসায় একা তানিয়া ও তার ছোট বোন চাঁদনী ছিল। বাসায় ফেরার পর চাঁদনী তার মায়ের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের অনুপস্থিতিতে তানিয়া মোবাইলে প্রেম করা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এতে তানিয়ার মা সাজেদা ঐ রাতেই তানিয়াকে প্রথমে বকাঝকা করেন। পরে তানিয়াকে কিল ঘুষি এবং এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তানিয়া মারা যায়। পরে তার মরদেহ সাজেদা ও তার ভাই সোহেল ওড়না দিয়ে টেনে পাশের একটি দোবায় ফেলে দেন।
এদিকে, তানিয়া রেলস্টেশনে তাদের আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে এই মর্মে ১২ নভেম্বর নিহতের মা সাজেদা আক্তার নিপু থানায় জিডি করেন। ঘটনার তিনদিন পর ১৫ নভেম্বর ডোবা থেকে তানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রথমে তানিয়ার প্রেমিক তাপস ও পরে তার মা নিপু ও মামা সোহেলকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ আরো জানান, গত ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) তানিয়ার ছোট বোন তাসনিম তাহসিন চাঁদনীকে নোয়াখালী বিচারিক আদালত-২ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেব উদ্দিন খাঁনের আদালতে হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সে ঘটনার বিবরণ দেয়।