‘নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াই, নিপীড়কদের ঘৃণা করি’

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

এই আন্দোলনের ফলে, কেউ নিপীড়ন করতে এলে সামান্য হলেও কেউ ভয় পাবে। এটা যতই জোরালো হবে ততই সমাজের জন্য মঙ্গল। মেয়েরা জানবে, ছেলেরা জানবে যে, নির্যাতন বলে দেওয়া যায়। তখন তারা ভয় পেতে শুরু করবে- বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

তিনি আরও বলেন, যে জিনিসগুলো আমরা জানতাম কিন্তু চুপ করে থাকতাম। সেই জিনিসগুলোকে স্পষ্ট করে সামনে নিয়ে আসছে #মিটু  আন্দোলন। 

১৮ নভেম্বর (রবিবার) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন পেশার নারীদের উদ্যোগে ‘নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াই, নিপীড়কদের ঘৃণা করি’, ‘আমরা #মিটু আন্দোলনের পক্ষে, আমরা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে এক প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, #মিটু আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা স্যালুট জানাই যারা মুখ খুলেছেন। কারণ তারা সাহস করেছেন, সেই সাহস আমি পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে তারা যেসব অফিসে কর্মরত আছেন তাদের কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যথাযথ ব্যবস্থা নিন।

মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির বলেন, যে নারীরা মুখ খুলেছেন, তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তারা সমাজে নিপীড়কদের চেহারা, তাদের চরিত্র ও পরিচয় উন্মুক্ত করেছে। 

মুশফিকা লাইজু নামের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী  # মিটু আন্দোলনের শরিক হওয়া নয়জনের একজন। তিনি ফেসবুকে অভিযোগ তুলেছিলেন জাহাঙ্গীরনগরের প্রয়াত এক অধ্যাপক, নাট্যকারের বিরুদ্ধে, যার দ্বারা তিনি নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩১ বছর আগের ঘটনা আজ আমি মাথা তুলে বলতে পারছি। সেদিনের ঘটনা বলে আজ আমি হালকা বোধ করছি। 

নিপীড়কের মৃত্যুর পরে ওই ঘটনা প্রকাশের পেছনের কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আর কোনো নারী যাতে এই ধরনের পরিস্থিতিতে না পড়েন। অল্প বয়সীরা যেন সচেতন হয়, ঘটনার শিকার হলে তারা যেন মুখে খোলে, আমি চাই সেই পরিবেশ তৈরী হোক।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহনাজ শারমিন, শারমিন রিনভী, উদিসা ইসলাম, শুকুর আলী শুভ, শেখ মামুন, নাদিয়া শারমিনসহ বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত