‘স্বেচ্ছায় ফিরতে চাইলে, তবেই প্রত্যাবাসন’

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৩৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের কেউ যদি স্বেচ্ছায় ফিরতে চান, তবে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম কক্সবাজারে নিজের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কেউ স্বেচ্ছায় যেতে চায় তাদের পাঠানো হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।  কেউ রাজি হলে ঘুমধুমে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পে আমাদের মেসেজ পৌঁছে দিয়েছি। সব প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে, দেখি কেউ রাজি হয় কি না। আমরা আশা ছাড়তে চাই না।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে মিয়ানমারও প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারও তাদের অংশে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।  প্রথম দলটিকে ফিরিয়ে নিতে তাদের একজনন মন্ত্রীও সীমান্তে আসবেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা একজনও বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি নয়। ইউএনএইচসিআর বলে আসছে, জোর করে কাউকে ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী ও টেকনাফের উনচিপ্রাং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ৪৮৫টি পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। প্রতিদিন ১৫০ জন করে ১৫ দিনে প্রথম ধাপের এই প্রত্যাবাসন শেষ হবে। সে অনুযায়ি গত কয়েক দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়েই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রত্যাবাসন কমিশন। এছাড়া ঘুমধুম সীমান্ত থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে তৈরি হয়েছে ট্রানজিট ক্যাম্প, যেখানে ফিরতি পথের রোহিঙ্গাদের  রাখার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে।

কিন্তু মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি উল্লেখ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিরোধিতা করে আসছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগাস্টে রাখাইনে রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কক্সবাজারের কয়েকটি কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত