রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:০৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সব প্রস্তিতি সম্পন্ন হলেও শেষ মহুর্তে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। খবর বিবিসি এর

১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে দুই দেশের সমঝোতা অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। প্রথম দফায় ৫০ টি পরিবারের ১৫০ জনকে তালিকা করে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও তাদের কেউই নিজ দেশে ফেরত যেতে চাইছেন না। 

বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর সাথে কথা বলার অনুমতি দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর (বুধবার)  ওই ৫০টি পরিবারের সবার সাথে কথা বলে ইউএনএইচসিআর তাদের একটি রিপোর্ট বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পুনর্বাসন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন যে ইউএনএইচসিআরের কাছ থেকে তারা জানতে পেরেছেন তালিকাভুক্ত দেড়শ শরণার্থীর একজনও মিয়ানমারে যেতে চায় না। তিনি বলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টটি তারা ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী ও টেকনাফের উনচিপ্রাং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ৪৮৫টি পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। প্রতিদিন ১৫০ জন করে ১৫ দিনে প্রথম ধাপের এই প্রত্যাবাসন শেষ হবে। সে অনুযায়ি গত কয়েক দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়েই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রত্যাবাসন কমিশন। এছাড়া ঘুমধুম সীমান্ত থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে তৈরি হয়েছে ট্রানজিট ক্যাম্প, যেখানে ফিরতি পথের রোহিঙ্গাদের  রাখার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে।

কিন্তু মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি উল্লেখ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিরোধিতা করে আসছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগাস্টে রাখাইনে রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কক্সবাজারের কয়েকটি কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত