রাজধানীতে গ্যাস সঙ্কট, জনদুর্ভোগ

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪১

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় দিনের বেলা চুলা জ্বলছে না, সংকটে রয়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো।

গত ৩ দিন ধরে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। দিনের বেলা গ্যাস থাকে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। রাজধানীর কাদেরাবাদ হাউজিং, মোহাম্মদপুর, কাটাসুর, জাফরাবাদ এলাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নয়াপল্টন এলাকার শাহীদা হক জানান, এই বাসায় এতদিন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে গ্যাস থাকছে না। গ্যাস থাকলেও তাতে রান্না করার মত তাপ নেই।

এছাড়া দক্ষিণখান, গ্রিনরোড, নিকুঞ্জ, জামতলা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ী, এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন, মগবাজার, হাজারীবাগ  এলাকাতেও দিনের বেলায় চুলায় গ্যাস থাকছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।  

বাংলাদেশ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) বলছে, ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ চাহিদা অনুযায়ি সরবরাহ দেয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন ১৫ কোটি ঘটফুট গ্যাস কম পাচ্ছে তিতাস, যা স্বাভাবিক সরবরাহের প্রায় ৯ শতাংশ।

মহাখালীর ইউরেকা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের স্টেশনে ১৫ পিএসআই চাপে গ্যাস আসার কথা, বাস্তবে চাপ থাকছে এর চেয়ে অনেক কম। কখনও কখনও পাঁচ পিএসআইয়ের নিচে নেমে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছিল জাতীয় গ্রিড। গত ৪ নভেম্বর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গ্যাস আসছে না। কর্তৃপক্ষ সেটা মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, সার কারখানাগুলো এই মৌসুমে চালু থাকায় সেখানে গ্যাস বন্ধ রাখা সম্ভব না। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস দেওয়া যাচ্ছে না। বিকালে সিএনজি পাম্পগুলো বন্ধ হলে বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কিছুটা বাড়ছে।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) পরিচালন বিভাগের পরিচালক কামরুজ্জামান খান জানান, তিতাসের সেবার আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছিলেন তারা। অবশ্য সেটাও চাহিদার তুলনায় কম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত