অ্যাম্বুলেন্সে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৩৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির সময় অ্যাম্বুলেন্সে আটকে রাখায় সাত দিনের নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৬০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

৩১ অক্টোবর (বুধবার) রাতে নিহত শিশুর চাচা হাজী আকবর আলী বাদী হয়ে শ্রমিকদের দায়ী করে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৮ অক্টোবর (রবিবার)সকালে আমার ৭ দিনের নবজাতক ভাতিজিতে অসুস্থ অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত সিলেট নেয়ার জন্য বলেন। চিকিৎসকের কথামতো আমরা বাচ্চাটিকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

সিলেট যাওয়ার পথে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজার, দাসেরবাজার ও চান্দগ্রাম বাজারে ৩টি জায়গায় তিনবার অ্যাম্বুলেন্সকে আটক করে পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। তাদের বাধায় হাসপাতালে না নিতে পারায় পথেই শিশুটি মারা যায়। তিনটি স্পটে ১৬০ থেকে ১৭০ জন তাদের বাধা দেয়।

মামলার বাদী আকবর আলী জানান, এ ঘটনার জন্য সারাদেশে যেভাবে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে এবং সবাই যেভাবে পাশে ছিলেন, আশা করছি সুষ্ঠু বিচার পাবো। 

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে মামলাটির তদন্ত করবে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলি এবং মামলা করলে আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেই। এতে গতকাল রাতে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, শিশুটি বড়লেখা সদর ইউনিয়নের অজমির গ্রামের কুটন মিয়ার মেয়ে। মাত্র সাতদিন আগে জন্ম নেওয়া শিশুটি নাম রাখার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত