শ্রমিকদের ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

আট দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

২৯ অক্টোবর (সোমবার) সকাল থেকে পরিবহন সংকটের কারণে রাজধানীর অফিসগামী ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকেই পরিবহনের অপেক্ষায় না থেকে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রাস্তায় দু’একটি লেগুনা চললেও তা ছিলো যাত্রীতে ঠাসা।

রাজধানীর মগবাজার, সাতরাস্তা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

পরিবহন কর্মবিরতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ চালকরা। এদিকে ধর্মঘটের কারণে রাজধানী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দুর পাল্লার কোন বাস। ফলে ট্রেনে বাড়তি চাপ পড়েছে। বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ড্যানিয়েল সরকার এক যুবক। এদিকে, সিলেটে নগরীতে এস এ পরিবহনের গাড়ি শহরের প্রবেশমুখে আটকে দিয়েছেন শ্রমিকরা। 

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনটির সভাপতি সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক উছমান আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সংসদে সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে, অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ‘সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮’  পাশ হয়েছে। অনিশ্চিত ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পেশায় দায়িত্ব পালন করা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো-
সড়ক দুর্ঘটায় সব মামলা জামিনযোগ্য হতে হবে, অর্থদণ্ড ৫ লাখ টাকা বাতিল, দুর্ঘটনা তদন্তে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা, ডাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি করা, ওয়েস্কেলে জরিমানা ও শাস্তি বাতিল, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকা এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত