চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪ আসামির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস জেল দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ৪২ কাটা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও দণ্ডিত হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

২৯ অক্টোবর (সোমবার) দুপুর ১২ টার দিকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত এ রায় দেন।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর ৩ আসামি হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কারাগার থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আদালতে আসেননি। অপর আসামি হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। এ নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৬ মামলার মধ্যে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।