‘মিয়ানমারের অজুহাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত’

কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে থাকা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসন মিয়ানমার সরকারের একের পর এক অজুহাতে বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় ২৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) নিয়েইয়র্কে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থায়ীভাবে মিয়ানমার থেকে আসা এই শরণার্থীদের বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সুযোগ দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। এমনিতেই আমার দেশে ১৬ কোটি মানুষ আছে। এরপর আরও ভার নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এটা নিতে পারি না। আমার দেশ এই ভার বহন করতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক তৈরি হোক, তা তিনি চান না।তবে মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির ‘মূল ক্ষমতা’ যাদের হাতে, সেই সেনাবাহিনীর কথায় আস্থা রাখার মত ধৈর্য্য ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ডিসেম্বরে  মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও গত দশ মাসে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। এর দায়ও বাংলাদেশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

রয়টার্স জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতিক্রিয়া তারা জানতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। আগামী ১ অক্টোবর সকালে লন্ডন হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।