প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে কেবিন ক্রুর মদপান, ২ কর্মকর্তা গ্রাউন্ডেড
প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইটের এক কেবিন ক্রুর মাদক সেবন ও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় দু'জনকে গ্রাউন্ডেড (সাময়িক অব্যাহতি) করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এরা হলেন- কেবিন ক্রু মাসুদা মুফতি ও ফ্লাইট সার্ভিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুজ্জামান রঞ্জু।
জানা গেছে, ডোপ টেস্টে কেবিন ক্রু মাসুদার মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেলেও সে তথ্য ফ্লাইট সিডিউল বিভাগকে না জানিয়ে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ফ্লাইট সার্ভিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুজ্জামান রঞ্জু। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি (গ্রাউন্ডেড) দেওয়া হয়েছে। মদপানের অভিযোগে ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে বাদ পড়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু মাসুদা মুফতি। পাশাপাশি তাকে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, প্রতিটি ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই পাইলট ও ক্রুরা মাদক গ্রহণ করেছেন কি-না, তা নিশ্চিত করতে ডোপ টেস্ট করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের ক্রু মাসুদা মাদক সেবন করেও তা গোপন করে ফ্লাইটে আসেন। পরে ডোপ টেস্টে তার মাদক গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন নুরুজ্জামান রঞ্জু। তাদের দু'জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের দিন ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের প্রমাণ মেলার পরও পরদিন সিঙ্গাপুর রুটে দায়িত্ব পালন করেন মাসুদা মুফতি। কিন্তু বিমানের নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে প্রমাণ মিললে কোনও ব্যক্তিকে পরবর্তী ৯০ দিন কোনও ডিউটি না দেওয়ার বিধান রয়েছে। মাসুদা মুফতির ডোপ টেস্টের তথ্য ডিজিএম নুরুজ্জামান রঞ্জু ফ্লাইট শিডিউল বিভাগকে জানাননি।
জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১ অক্টোবর সকালে লন্ডন হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।