অপচিকিৎসার অভিযোগে প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালে ভাঙচুর
প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১৭
যশোরে বেসরকারি হসপিটাল কুইন্সে ভেজাল ইনজেকশনে পুশ করায় পিংকী দেবনাথ (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ১৩ সেপ্টেম্বর ( বৃহস্পতিবার) যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের পুত্রবধূ এবং বিশিষ্ট কম্পিউটার ব্যবসায়ী পার্থ প্রতীম দেবনাথ রথির স্ত্রী পিংকীর প্রসব বেদনায় শহরের কুইন্স হসপিটালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইনি চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ ৮ বছর সন্তানের মুখ দেখেন পার্থ প্রতীম-পিংকী দম্পতি। রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত মোহিত নাথের পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়, জোয়ার লাগে সামাজিক মাধ্যমেও। নতুন অতিথির ছবিতে ভরে উঠে সংশ্লিষ্টদের ফেসবুক। কিন্তু রাত ১২ টায় জানা যায়, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন পিংকী।
এ প্রসঙ্গে শিশুটির কাকা রানা নাথ জানান, দুপুরে সিজারের মাধ্যমে পিংকী মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন এবং মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ ছিলেন। সন্ধ্যায় ডা. জাকির প্রসূতির জন্য ‘ওমেপ’ নামে একটি ইনজেকশন লেখেন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের সেবিকা জেসমিন ওই ইনজেকশনটি প্রসূতির শরীরে পুশ করার কিছু সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পিংকী।
ডা. জাকির হোসেনের দাবি, রোগীর স্বজনরা পাশের একটি ফার্মেসি থেকে ভেজাল‘ওমিজিড’ নামে ইনজেকশন কেনেন যা পুশ করার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হতে পারে।
তবে উত্তেজিত ভুক্তভোগীদের দাবি ওই ভেজাল ইনজেকশন বাইরে থেকে কেনা হয়নি, নিজেদের দায় এড়াতে মিথ্যা কৌশল নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে জানতে কুইন্স হসপিটালের ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীর কবুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত লোকজন হাসপাতালটির সপ্তম তলায় আসবাবপত্র তছনছ করে, জানালার গ্লাস ভাঙে।ভাংচুরের সময় অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। একপর্যায়ে হাসপাতালে অবস্থানরত চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পরে সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি, তদন্ত) আবুল বাশার বলেন, কুইন্স হসপিটালে ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে