‘এই হোটেল বিশ্ব গ্রাহকদের কাছে নতুন এক চমক’
প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪০ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৩
সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলটি বিশ্ব গ্রাহকদের কাছে নতুন এক চমক সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে- আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সবুজের সমাহার রমনা পার্ক সংলগ্ন এলাকায় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পাঁচ তারকা হোটেল উদ্বোধনের সময় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ফলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী, পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের আগমন বেড়ে যাওয়ায় আমাদের আরো নতুন নতুন উন্নত মানের ও আধুনিক হোটেল দরকার। আসা করি এই হোটেল বিদেশী পর্যটক ও অতিথিদের ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে আরও আকৃষ্ট করবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষী এই হোটেল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল। ১৯৭১ সালে এই হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যে বিদেশী সাংবাদিকরা ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অ্যাকশনে যাওয়ার আগে তাদের হোটেলে আটক করে ফেলে। আর বের হতে দেয়নি। সাংবাদিক সায়মন ড্রিং তখন অল্প বয়সি ছিলেন এবং লুকিয়ে হোটেলের কিচেন দিয়ে কর্মচারীদের সহযোগিতায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। সায়মন ড্রিং ই ছিলেন প্রথম সাংবাদিক যিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ শুরু করেছিল, ঢাকার রাজপথে যে শুধু লাশ পড়ে ছিল, সেই ছবি তুলে বার্তাটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। কাজেই এই হোটেলের সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িত।
উল্লেখ্য, ২২৬ কক্ষ বিশিষ্ট এই হোটেলটিতে ২০১টি প্রিমিয়াম ডিলাক্স রুম, ১০টি ডিলাক্স সুইট, ৫টি সুপিরিয়র সুইট, ৫টি ডিপ্লোমেটিক সুইট এবং ৪টি প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট এবং অনেকগুরো ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। ২০১৪ সালে হোটেলটির সংস্কার কাজের শুরু হয়। ব্রিটিশ গ্লোবাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্রুপ (আইএইচজি) এবং বাংলাদেশ সার্র্ভিসেস লিমিটেডের (বিএসএল) মধ্যে এ নিয়ে একটি ৩০ বছরের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশি কূটনতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।