টাঙ্গাইলে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সহপাঠীদের মানববন্ধন
প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০৪
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ১০ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানবন্ধন করেছে শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা।
১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলার সুনামগঞ্জ গারো বাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান সেলিম, বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সহকারী শিক্ষক আবু হাসান, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ঐ ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত স্থানীয় মহিষমারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (২০), আয়েন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) । গত ১৫ আগস্ট ঐ ছাত্রী তার ফুফুর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সময় ঐ ৩ বখাটে মহিষমারা গ্রামের সিংহমারী চাওনা এলাকায় কিশোরীকে মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় তার স্কুলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীটির জ্ঞান ফিরলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর বাবা মামলা করার উদ্যোগ নিলে প্রভাবশালী ধর্ষকদের প্ররোচনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার নামে গড়িমসি এবং ওই স্কুলছাত্রীর বাবাকে মামলা না করতে হুমকি প্রদান করে। অবশেষে গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মাতাব্বরগণ এক সালিশী বৈঠকে গণধর্ষণের জরিমানা হিসেবে ৫ লাখ টাকা এবং ৩০ শতাংশ জমির বিনিময়ে আপোষ করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ প্রস্তাবে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ না মানায় সালিসী বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।
পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় ৩ জনের নামে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারায় অবশেষে ১০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিচারে দাবীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিদ্যালয় আঙ্গিনায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে।