সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যা: শ্বশুর ও কেয়ারটেকার আটক
প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০৩
আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সুবর্ণার শ্বশুর আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। তিনি ইদ্রাল ওষুধ কোম্পানি এবং শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। সেই সাথে সুবর্ণা যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার কেয়ারটেকার ইমরান হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
২৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) দিবাগত গভীর রাতে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত নদীর বোন চম্পা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আবুল হোসেনকে আটক করে।
এদিকে, সুবর্ণা হত্যার সঙ্গে জড়িত হিসেবে পুলিশ সুবর্ণা স্বামী রাজীবকেও সন্দেহ করছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে নদীর দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু যৌতুকের দাবিতে নদীকে তালাক দেন রাজীব। এ ঘটনায় রাজীব ও আবুল হোসেনসহ ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নদী। গত ২৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) সেই মামলার শুনানি হয়।
উল্লেখ্য, ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা শহরের রাধানগরে নিজবাসার সামনে সাংবাদিক নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। পাবনা শহরের রাধানগরে একটি ভাড়া বাসায় মা ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন সাংবাদিক সুবর্ণা। এর আগে জীবন নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদীর। পরবর্তীতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই ঘরে তাদের জান্নাত নামে ৭ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।