‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধনী) আইন- ২০১৬’র খসড়া অনুমোদন
প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৬, ১৮:৫৩
মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধনী) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেবিনেটের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রেক্ষিতে এদিন মন্ত্রিসভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি সংস্কার আইনকে আরও যুগোপযোগী করা হল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, আইনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন হচ্ছে, চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং কোরাম পূরণ।
চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশ বিদ্যমান আইনে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হতো। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬ প্রস্তাবে চেয়ারম্যানসহ কমিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
কমিশনের গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন। এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সার্কেল চিফ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এই কমিশনের সদস্য হবেন।
কোরাম প্রসঙ্গে মন্ত্রপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, নয় সদস্যের কমিশন বৈঠকে বিদ্যমান আইনে চেয়ারম্যানসহ ৩ জন হলে কোরাম হতো। সংশোধিত প্রস্তাবে চেয়ারম্যানসহ ৪ সদস্য উপস্থিত হলেই কোরাম হবে।
তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের কিছু জায়গায় স্পষ্ট করা হয়েছে সংশোধিত আইনে।
ভেটিং শেষে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে আইনটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদে যাবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সংসদ যেহেতু দুই মাস পরে বসবে, তাই ইমারজেন্সি বিবেচনায় এটাকে অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সব প্রস্তাবই যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সামরিক-বেসামরিক অন্যদেরও মতামত নেয়া হয়েছে।’
এছাড়া, এদিন জাতীয় ই-সেবা আইন-২০১৫ এর খসড়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় ইতোপূর্বে নেয়া সিদ্ধান্তও বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ই-সেবাটা ছোট পরিসরের আইন হয়ে যায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বড় আইন করবে যার নাম হবে- ন্যাশনাল এন্ট্রারপ্রাইজ আর্কিটেকচার অ্যাক্ট (এনইএএ)। এই আইনের মধ্যে সব কিছু আসবে। ই-সেবাও এর মধ্যে আসবে।
সূত্র: বাসস