মিরপুরে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিহাতে ওরা কারা
প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩৭
রাজধানী জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মিরপুরে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় লাঠি হাতে একদল যুবক শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। সংঘর্ষের পর একাধিক শিক্ষার্থীকে সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টা দিকে মিরপুর-১৩ ও ১৪ নম্বরের মধ্যে বিআরটিএ থেকে কাফরুল থানা হয়ে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের গেইট পর্যন্ত সড়কে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার ইয়াসমীন সাইকা পাশা বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলার চেষ্টা করে। পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন তারা সরে ১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে যায়।
সে সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠি হতে কারা ছিল- সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে যুবলীগের কারও বক্তব্যও জানা যায়নি।
আহত এক কলেজছাত্র বলেছেন, মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাদের মানবন্ধন কর্মসূচি চলছিল। পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শিক্ষার্থীরা ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। ওই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছু সময় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে একদল যুবককেও লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের পেটাতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র জানান, আমাদের আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে প্রাতিষ্ঠানিক আইডিকার্ড রয়েছে। শান্তিপ্রিয় আন্দোলন চলছিল। কিন্তু বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ করেই পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনে থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। সেসময় একদল যুবক পিছন থেকে লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মিরপুর-১০ এলাকায় অবস্থান নেই আমরা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।