ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা
প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৮, ১২:৩২
নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নেই, রাস্তা বের হলেই শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুর করে- এসব সমস্যা সমাধানের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের দাবি, শ্রমিক হিসেবে তাদের জীবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে তারা রাস্তা থেকে সরবেন না।
১ আগস্ট (বুধবার) ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইবোর্ড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সকাল থেকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী কোনো যাত্রীবাহী গাড়ি ছেড়ে যেতে পারছে না। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কোন গাড়িও ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। এছাড়া চলাচল করছে না কোন লোকাল যাত্রীবাহী বাসও।
এদিকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ ও ঘাতক বাসচালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে আজও রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ফার্মগেট এলাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীরা সকাল নয়টার দিকে মিছিল বের করেছে। গতকালের মতো সারা ঢাকায় আজও বাস কম দেখা যাচ্ছে।
গাবতলীর ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বাসের সংখ্যা অনেক কম।
জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষককে নিয়ে আসতে গিয়েছে পুলিশ। এছাড়া সকাল থেকে পুলিশ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছে।
১ আগস্ট (বুধবার) সকালে মিরপুর, শ্যামলী, মহাখালী, বিজয় সরণি, উত্তরা, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি বাস এলেও তাতে সবাই উঠতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এ ঘটনায় দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম রবিবার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।