রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৩:৪৭
বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, মতিঝিল শাপলা চত্বরে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন। পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান করায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া শ্যামলীর শিশু মেলার সামনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় শ্যামলী-আগারগাঁও লিংক রোডের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে রামপুরা সড়কেও শিক্ষার্থীদের অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে। ফলে রামপুরা-নতুন বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মধ্যবাড্ডায় গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজমুল আলম জানান, রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার র্যাডিসন হোটেলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, ফার্মগেটের ওভারব্রিজের নিচে কারওয়ানবাজারমুখী একপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ও আশেপাশের শিক্ষার্থীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
এদিকে, অবরোধে মিরপুর-১, ২, ১০ নম্বর গোল চত্বর, কাজীপাড়া ও ১১ নম্বর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধে শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া বাসচাপায় নিহত সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ওই সড়কে অবস্থান নিয়েছে। মিরপুর এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে আরও অনেক শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে।
ওই এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর হয়ে উত্তরা, আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী এবং গাবতলী থেকে গুলশান নতুন বাজার পর্যন্ত রোডে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এসব রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অনেক যাত্রীকে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া মিরপুর কালশী রোড থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এ ঘটনায় দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম রবিবার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।