ছাত্রীনিবাসে ঢুকে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৭
রংপুরে বোরকা পরে ছাত্রীনিবাসে ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত দুজন হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার তাসকির হোসেন (২৮) ও তাঁর বান্ধবী একই উপজেলার গড়েরপাড় এলাকার দুলালী আক্তার (২৮)। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি আসামিদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
১৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাবিদ হোসাইন এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার রফিক হাছনাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলার বিবরণে জানা যায়, রংপুর শহরের কলেজ রোডের খামারপাড়া এলাকায় একটি বেসরকারি ছাত্রীনিবাসে শীতকালীন ছুটির সময় একাই ছিলেন ঐ ছাত্রী। নিজের জন্মদিন উপলক্ষে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী তার বান্ধবী দুলালী আক্তারকে ডেকে আনেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে বোরকা পরে ছাত্রীর ছদ্মবেশে আসেন দুলালীর বন্ধু তাসকির হোসেন। এক সুযোগে দুজনকে একা রেখে বাইরে তালা দিয়ে পাহারা দেন দুলালী। তাসকির ওড়না দিয়ে ওই ছাত্রীর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন এবং গোপনে ওই দৃশ্য ভিডিও করেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওটি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী প্রথমে কাউকে না জানালেও পরের দিন তাসকির ফের কুপ্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী রংপুর কোতোয়ালি থানায় তাসকির ও দুলালীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ২০১১ সালের ৭ মার্চ তাসকির হোসেন ও দুলালী আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার রফিক হাছনাইন জানান, ঘটনার পর আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত ৯ জুলাই যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।