মৌলভীবাজারের চার 'রাজাকারের' মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৩:১১ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৩:৩৮
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মৌলভীবাজারের রাজনগরের মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামি আকমল আলী তালুকদারকে রায় ঘোষণার এসময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মামলার পলাতক তিন আসামি হলেন- আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়, মো. আনিছ মিয়া ও মো. আব্দুল মোছাব্বির মিয়া।
১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদারের বেঞ্চ এ রায় দেন। এছাড়া অপর একটি অভিযোগে চার জনের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা ১৯৭১ সালের ৭ মে থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ও পশ্চিমভাগ গ্রামে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।
এসময় রাজনগর এলাকায় গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দু'টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ৬১ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৭ জনকে অপহরণ, ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর এই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে মাওলানা আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
গত বছরের ৭ মে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৭ মার্চ মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন- প্রসিকিউটর হায়দার আলী, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, আবুল কালাম, শেখ মুশফেক কবীর। আসামিপক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও রাষ্টষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হোসেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।