ভিডিও ভাইরালের হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

চট্টগ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে তা পরে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে এসেছেন মো. রুহুল আমিন (২৮) নামে এক যুবক। শুধু তাই নয়, হুমকি দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে সে।

গত ১৫ জুলাই (রবিবার) ফের মেয়েটিকে শারিরীক সম্পর্কের জন্য চাপ দিলে মেয়েটির বাবা র‌্যাবের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে র‌্যাব সদস্যরা কৌশলে নগরের ইপিজেড থানার বে-শপিং সেন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রুহুল বাগেরহাট জেলার মংলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। রুহুল আমিন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানা বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়ের পরিবার ইপিজেড এলাকায় যে বাসায় ভাড়া থাকেন সে বাসার কেয়ারটেকারের দায়িত্বে আছেন রুহুল আমিন। মেয়েটির বাবা-মা কেউ বাসায় না থাকার সুযোগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে। পরে সেই ছবি-ভিডিও মেয়েটিকে দেখিয়ে এবং মানুষকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রায় তিনবছর ধরে একই কাজ চালিয়ে আসছিল রুহুল।

রুহুল আমিন গ্রেফতারের পর র‌্যাবের কাছে বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান শাহেদা সুলতানা। রুহুল আমিনের কাছ থেকে ১টি ক্যানন ক্যামেরা, ১টি পেনড্রাইভ, ২টি মেমোরী কার্ড, ১টি কার্ড রিডার, ২টি মোবাইল সেট এবং ৩টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে মেয়েটির অশ্লীল ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।