উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরার ৬ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ১৪:৩৪

অনলাইন ডেস্ক

মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার ৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

১২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকার সপ্তম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভুতভাবে অর্জিত এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা হাবিবুল হাছান জীবন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি দমন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় তিন বছর ও ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদলত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে হাজির না থাকায় (পলাতক) তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দুই মামলায় পাঁচ হাজার টাকা করে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ মে সাবিরা সুলতানা তার সম্পদ বিবরণীতে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার হিসাব দেখিয়ে জমা দেন দুদকে। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, প্রায় ১ কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পত্তি অসাধুভাবে অর্জন করেছেন তিনি। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ।

ওই ঘটনায় ২০১০ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে বাদী হিসেবে ছিলেন দুদকের সহকারি পরিচালক সৈয়দ আহমেদ। ওই বছর ২৫ জুলাই ৯ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর এই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।