'কৃষকদের দূরাবস্থা মোকাবেলায় দরকার কৃষক আন্দোলন'
প্রকাশ | ০৪ জুন ২০১৮, ১৩:২৭
বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি, গণজারণ মঞ্চের সংগঠক অগ্নিকন্ঠী লাকী আক্তার গত ২ জুন (শনিবার) চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর মুজিবনগরের আনন্দবাসে কৃষকসমিতির সভায় কেন্দ্রীয় সফরে যান। সভায় কৃষকদের দূরাবস্থা মোকাবেলায় শক্তিশালী কৃষক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লাকী আক্তার বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রধান বুনিয়াদ কৃষি। পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দেশের অর্থনৈতিক-সামাজিক-সংষ্কৃতির ভিত্তি কৃষির উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ কৃষি ও কৃষক সবচাইতে নিগৃহীত। আজ বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। তারা নানাভাবে শোষণের শিকার। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে কৃষক রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত কষ্ট বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে ফসল ফলায় সেই কৃষক আজ পাচ্ছে না নায্য মূল্য, মাঠে পাচ্ছে না ফসলের রোগমুক্তির জন্য সঠিক সরকারি সেবা, অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ফসলে লাভ না পেয়ে হচ্ছে দিন দিন ঋনগ্রস্থ, অনাহারে মরছে কৃষক।
তিনি আরো বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ফসল ক্রয় করতে হবে, ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে, বোরো মৌসুমে ধান আমদানি স্থাগিত করতে হবে, সার-বিষ-কিটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে, সবজি সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে, বিএডিসি সচল করতে হবে, পল্লী রেশন ও শস্যবীমা চালু করতে হবে, পল্লি বিদ্যুৎ ও ভূমি অফিসের অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-কুষ্টিয়া অঞ্চলে পান বেশি, পানের মড়ক দূরিকরনে কৃষি কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবেই কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।