বিধবাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন, মূল আসামি গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৮, ১৭:৪৭
যশোরের মণিরামপুরে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের জন্য এক বিধবাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মূল আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৬ মে (শনিবার) শহীদুলকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার বিধবা রোকেয়া বেগম (৫৮) ওই গ্রামের বদিউজ্জামানের মেয়ে। অপরদিকে আটক শহিদুল ইসলাম একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, গত ২১ মে (সোমবার) হঠাৎ করে একই এলাকার শহিদুল ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসীরা তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জড় হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে স্থানীয় একজন ব্যাক্তি এই ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে গত ২৫ মে (শুক্রবার) বিধবা রোকেয়া মণিরামপুর থানায় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
রোকেয়া বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ৪০ বছর ধরে তিনি ঢাকুরিয়ায় বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি ও তার দুই ভাই দিনমজুরির কাজ করে জীবন চালান। অনেক বছর আগে ওই এলাকার খালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে একখণ্ড জমি কিনে একটি ছোট মাটির ঘর করে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, রোকেয়ার বসতবাড়ির উঠান সংলগ্ন একখণ্ড জমি রয়েছে খালেকের অপর ভাই ফয়জুল্লার মালিকানায়। তার কাছ থেকে বছর দুয়েক আগে শহিদুল ওই জমিটি কেনেন। ফয়জুল্লার জমি দখল নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোকেয়ার বসতঘরও দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন শহিদুল। এসময় ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
মণিরামপুর থানার উপ পরিদর্শক জুয়েল রানা বলেন, বিধবাকে মারপিটের ভিডিও দেখার পর শুক্রবার এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনার মূলহোতা শহিদুলকে আটক করা হয়েছে।