ডিজিটাল আইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
প্রকাশ | ১৭ মে ২০১৮, ১৬:০১
প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মত কিছু নেই বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ‘প্রতিনিধি সম্মেলন-২০১৮’-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়াই সব থেকে বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। সেদিকে খেয়াল রেখে সবকিছু একটি আইন মোতাবেক, নীতিমালা মোতাবেক এগিয়ে চলুক, সেটাই আমরা চাই। সব দেশেই সংবাদমাধ্যম যত স্বাধীনতাই পাক, সেগুলো একটা নীতিমালার মধ্য দিয়েই চলে। অনলাইন গণমাধ্যম ও সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখছে। তাই এগুলোর জন্যও নীতিমালা থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার তথ্য অধিকার আইনের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত সাত বছরে সারা বাংলাদেশে নিবন্ধিত হওয়া সংবাদপত্রের সংখ্যা ৭শ’র বেশি। সংবাদপত্রকে ইতোমধ্যে সরকার ‘সেবা শিল্পখাত’ হিসেবে ঘোষণাও দিয়েছে। এই ঘোষণা যেন কার্যকর হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর ইতোমধ্যে অষ্টম ওয়েজবোর্ড করে দিয়েছি। নবম ওয়েজবোর্ড করার প্রক্রিয়াও চলছে। কাজেই আশা করি সেটাও করা হবে। তবে আপনারা জানেন, ওয়েজবোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা থাকেন। তারা সবসময়ই একটু কালক্ষেপণ করার চেষ্টা করেন। আপনাদের মত আমরাও চাই এটা তাড়াতাড়ি কার্যকর হোক। এখানে যে প্রতিবন্ধকতাটুকু, সেটা কিন্তু আমাদের করা না। সেটা আপনাদেরই সাংবাদিক মহলের করা। কাজেই কে এসব করছে সেটা আপনারাই দেখবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে আসার পর গত ৩৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাল ধরে আছি। সবসময় একটা বৈরিতা নিয়ে, সমালোচনার মধ্যেই আমাকে এগোতে হয়েছে। কিন্তু আমি কখনো সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাইনি। কারণ আমি জানি আমি কী কাজ করছি। এবং ন্যায় ও সত্যের পথে থাকলে ফলাফল পাওয়া যায় বলেই আমি বিশ্বাস করি।
এসময় তিনি সরকারের সাফল্যগুলো সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সরকারের করা কাজগুলো যেন দেশের কল্যাণেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। এর উদ্দেশ্য, বাংলাদেশিরা যেন সবার মাঝে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।