জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা
প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৮, ১২:৫২
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এখন যে মামলাগুলো আছে, সেগুলোতে জামিন নিতে হবে। এরপর দ্রুত আইন প্রক্রিয়া শেষ হলে কারাগার থেকে মুক্ত হবেন খালেদা জিয়া।
১৬ মে (বুধবার) অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহালের রায় দেন। এছাড়া আগামি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার যে আপিল করেছেন তা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ মে (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে মাহবুবে আলম আরও কিছু যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে বুধবার দিন ধার্য করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আগামীকালের পরিবর্তে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় যুক্তিতর্ক তুলে ধরার আদেশ দেন।
দুপুর ১২টায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে জামিন প্রশ্নে রায় দেয়ার বুধবার দিন ধার্য করে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং আসামিদের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।
এরপর গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে পরের দিন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আপিল করে। পরে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ জামিনের স্থগিতাদেশ দেন। পরদিন ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেন।