সবচেয়ে মেধাবী এদেশের ছেলেমেয়েরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ | ২২ মে ২০১৬, ১৯:৪৯
রবিবার ঢাকার ওসমানী মিলনায়তনে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ‘সুপ্ত প্রতিভা’ খুঁজতে জাতীয়ভাবে আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের বিজয়ী ২৪ প্রতিযোগীর গলায় পদক পরিয়ে এবং সনদ ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।
যারা পুরস্কার পেয়েছে এবং যারা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সত্যিই উজ্জ্বল।” প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি সব থেকে মেধাবী হলো আমার দেশের ছেলেমেয়েরা। কিন্তু বিকশিত হওয়ার সুযোগ তাদের দিতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। এটাই সব থেকে বড় সম্পদ। এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
স্বাধীন দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘সোনার ছেলে-মেয়ে’ চেয়েছিলেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আজকের এই ছেলে-মেয়েরা সোনার ছেলে-মেয়ে হিসেবে দেশটাকে গড়ে তুলবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের ছেলে-মেয়েদের তো সৌভাগ্য, তারা এক জায়গায় বসে বিশ্বটাকে দেখতে পারে। প্রযুক্তির দ্বারা শিক্ষা, জ্ঞান অর্জন এবং বিশ্বকে জানার যে সুযোগ... সে সুযোগটা যেন আমাদের ছেলে-মেয়েরা আরও বেশি করে পেতে পারে। সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দিতে হবে।”
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে সব এলাকায় কোনো সরকারি স্কুল-কলেজ নেই, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৬ এর সেরা ১২
বিষয়: গণিত ও কম্পিউটার
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: শ্বাশত সাহা, অষ্টম শ্রেণি রংপুর জিলা স্কুল; রংপুর বিভাগ
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: শৌর্য দাশ, দশম শ্রেণি, কুমিল্লা জিলা স্কুল; চট্টগ্রাম বিভাগ।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: শেখ আজিজুল হাকিম, একাদশ শ্রেণি, নটরডেম কলেজ; ঢাকা মহানগরী।
বিষয়: দৈনন্দিন বিজ্ঞান বা বিজ্ঞান
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: মো. মকলেসুর রহমান, অষ্টম শ্রেণি, আমেনা-বাকি রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ দিনাজপুর; রংপুর বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: শতাব্দী রায়, নবম শ্রেণি, জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; রাজশাহী বিভাগ।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: মাহিয়া আহমেদ, একাদশ শ্রেণি, সরকারি আযিযুল হক কলেজ, বগুড়া, রাজশাহী বিভাগ।
বিষয়: ভাষা ও সাহিত্য
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: নাহিয়ান ইসলাম ইনান, অষ্টম শ্রেণি, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: সিরাতল মোস্তাকিম শ্রাবণী, দশম শ্রেণি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ; ঢাকা মহানগরী।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতা, একাদশ শ্রেণি, লালমনিরহাট মহিমা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ; রংপুর বিভাগ।
বিষয়: বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: মোতাকাব্বির বিন মোতাহার, সপ্তম শ্রেণি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; চট্টগ্রাম বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: নাজমুস সাকিব, দশম শ্রেণি, কুমিল্লা জিলা স্কুল; চট্টগ্রাম বিভাগ।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: ঐশ্বর্য সাহা উর্মি, একাদশ শ্রেণি, বিয়ানী বাজার সরকারি কলেজ; সিলেট বিভাগ।
এই বছর সারা দেশের দুই লাখ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১০৮ জন চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীয় অংশ নেয়
২০১৫ সালের সেরা ১২
বিষয়: গণিত ও কম্পিউটার
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: রুবাইয়াত জালাল, অষ্টম শ্রেণি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল; রাজশাহী বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: তানসীম আজওয়াদ জামান, দশম শ্রেণি, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়; ঢাকা মহানগর।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: শাকিল আহমেদ, একাদশ শ্রেণি, নওয়াপাড়া কলেজ যশোর; খুলনা বিভাগ।
বিষয়: দৈনন্দিন বিজ্ঞান বা বিজ্ঞান
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: ইসতিয়াক মাহমুদ সিয়াম, অষ্টম শ্রেণি, সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট; সিলেট বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: সাদমান নাসিফ, দশম শ্রেণি, খুলনা জিলা স্কুল; খুলনা বিভাগ।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: জয়ন্ত পাল, একাদশ শ্রেণি, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ; সিলেট বিভাগ।
বিষয়: ভাষা ও সাহিত্য
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: ইবনুল মুহতাদি শাহ, অষ্টম শ্রেণি, দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুল, মৌলভীবাজার; সিলেট বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: শাকিল রেজা ইফতি, দশম শ্রেণি, দিনাজপুর জিলা স্কুল; রংপুর বিভাগ।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: আনিকা বুশরা, একাদশ শ্রেণি, রাজশাহী কলেজ; রাজশাহী বিভাগ।
বিষয়: বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: শেখ খাতুনে জান্নাত শামীমা, অষ্টম শ্রেণি, বি কে জি সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ; সিলেট বিভাগ।
নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: ইশমাম তাসনিম, দশম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ঢাকা মহানগর।
একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: রাইদা করিম, একাদশ শ্রেণি, হলিক্রস কলেজ; ঢাকা মহানগর।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত সেরা মেধাবীরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের প্রতিটি বিভাগের ১২ জন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৩ সাল থেকে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।