মডেল কাজী আসিফ ও স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
প্রকাশ | ১৩ মে ২০১৮, ১৯:৫৬
স্ত্রী শামীমা আক্তার অর্নি ওরফে মিমা শাহ অর্নির করা নির্যাতন মামলায় গত ২৫ এপ্রিল (বুধবার) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে জামিনের আদেশ পান মডেল কাজী আসিফ। স্ত্রী অর্নি রহমানের উপর আর নির্যাতন করবেন না এবং সন্তানের ভরণপোষণ করবেন; এই শর্তে তাকে জামিন দেওয়া হয় বলে সেসময় বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান।
জামিনের মেয়াদ ৬ মে পর্যন্ত হলেও পরে আদালত তা ২০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করে।
জামিনে ছাড়া পেয়ে গত ২৫ এপ্রিল স্ত্রী মিমা শাহর বাসায় তালাকের নোটিশ পাঠান আসিফ। আসিফের দাবী মিমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি তালাক দিয়েছেন তিনি। এদিকে মিমা জানান, তালাক নোটিশে তারিখ ২ এপ্রিল এর হলেও নোটিশটি ২৩ এপ্রিল পোস্ট করা হয় যা তার হাতে এসে পৌঁছায় ২৫ এপ্রিল।
জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর গত ১১ মে প্রথমবারের মতো ফেসবুকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মডেল আসিফ। নিজের পেজে পোস্ট দিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন তিনি। আসিফ তার পোস্টে বলেন, "...বিয়ের পর যদি জানতে পারেন আপনার স্ত্রী আগে বহু বিবাহ করেছেন এবং বিয়ের সময় সেই তথ্য গোপন করে আপনাকে বিয়ে করেছেন - তখন আপনি কি করতেন? বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কি তালাক দেয়াটাই স্বাভাবিক নয়?..."
এদিকে আসিফের পোস্টের পর তার বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী মিমা। ১২ মে দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে তিনি আসিফকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, "...কোর্টে এক কথা এবং বাইরে অন্য কথা! আপোষের শর্তে জামিনে এসে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ না মেনে মিথ্যাচার করে উল্টা দুর্নাম ছড়িয়ে ফেইসবুকে নিজের আদালত খুলে দিচ্ছে! যে কোর্টে এক কথা বলে এবং বাইরে অন্য কথা তার কথা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? আমার দায়ের করা মামলা জুডিসিয়াল ইনকুয়ারি করে সত্যতা যাচাই করার পর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এই মামলাকে মিথ্যা বলা কোর্টকে অবজ্ঞা এবং অসম্মান করার শামিল"।
উল্লেখ্য, আসিফের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট কানাডা প্রবাসী শামীমা আক্তার অর্নির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাজী আসিফ। বিয়ের সময় পরিবার ৭/৮ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয়। পরে বাদী আসামিকে গাড়ি কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা দেন। আসামি গাড়ি না কিনে ওই টাকা কী করেছে তা গত ২ এপ্রিল বাদী জিজ্ঞাসা করলে আসামি আরো ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ও মারধর করেন।
এই মামলায় গত ২২ এপ্রিল রাত ১২টা নাগাদ হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে মডেল ও অভিনয়শিল্পী আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।