‘দেশের প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে’
প্রকাশ | ১৩ মে ২০১৮, ০০:১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; এমনকি এখন পর্যন্ত যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সেখানেই ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে। এই ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই ঐতিহ্য বজায় রেখে জাতির পিতার গড়া এই সংগঠনের প্রত্যেকটি সদস্যকে মানুষের কল্যাণ নিয়ে ভাবতে হবে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১১ মে (শুক্রবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ‘বাঙালির ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস। প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ছাত্রলীগও ছিল। আন্দোলন গড়ে তোলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেই সংগ্রামেও ছাত্রলীগ ছিল। ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের ভূমিকা আছে। আমিও ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধেও এ সংগঠনের অবদান আছে। আমাদের বহু সহকর্মী প্রাণ দিয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘যে সময় দেশের ক্ষমতায় খুনিরা সেই অবস্থায় আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। ৭৫-এর পর বাংলার যে গৌরব হারিয়ে গিয়েছিল, সেই গৌরব ফিরিয়ে দেওয়া, দেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশে ফেরত আসি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার সংগ্রামও করেছিল ছাত্রলীগ। স্বৈরতন্ত্রকে হটিয়ে বাংলাদেশের মানুষের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার সংগ্রামে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসি। ক্ষমতায় এসে যারা ছাত্রসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল, মেধাবীদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছিল, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন জট তৈরি করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অস্ত্রপাচার, অর্থপাচারসহ যত ধরনের অপকর্ম করা হয় তারা তা করেছে। তাদের অত্যাচারে দেশে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমি ক্ষমতায় না থাকার পরও আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করেছিল। এমন কোনও দিন নেই যে তারা কারাগারের সামনে যেতেন না, কোর্টের সামনে যেতেন না।’