তাসফিয়ার ভিসেরা রিপোর্ট ঢাকায়
প্রকাশ | ০৭ মে ২০১৮, ১২:৫৩
চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন (১৬) হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ জানতে তাসফিয়ার ‘ভিসেরা রিপোর্ট’ ঢাকার মহাখালী ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। তাসফিয়াকে খুন করা হয়েছে নাকি রক্তে বিষক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতেই ঢাকার মহাখালী ল্যাবরেটরিতে তাসফিয়ার ভিসেরা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ভিসেরা রিপোর্টটা পেলে হত্যার মূল কারণ জানা যাবে। এছাড়াও মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ক্লু উদঘাটনে একাধিক ইস্যু নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগুচ্ছি।
তবে তদন্ত চলমান বললেও ঘটনার ৫ দিন পরেও তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে গ্রেফতার করা ছাড়া এই মামলার অন্য কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, ৬ মে (রবিবার) স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার আদনান মির্জাকে গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করারও আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ২ মে (বুধবার) সকালে স্থানীয়দের খবরে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটের পাথরের ওপর থেকে সা্নসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। পরে একই দিন সন্ধ্যায় নগরের খুলশী থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে আটক করে। আটক আদনান মির্জা বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং ব্যবসায়ী ইস্কান্দার মির্জার ছেলে।
পুলিশের এসি মো. জাহেদুল ইসলাম তখন বলেন, "তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জা ১০০ টাকা দিয়ে নগরের ও আর নিজাম রোডের বাসায় দ্রুত যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয় তাসফিয়াকে। কিন্তু তাসফিয়া বাসায় ফিরে না গিয়ে পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটে চলে যায়। তখন তাসফিয়ার হাতে টাকাও ছিলো না। তাহলে পতেঙ্গায় পৌঁছে তাসফিয়া সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া দিলো কিভাবে? আমাদের ধারণা, তাসফিয়ার হাতে একটি স্বর্ণের আংটি ছিলো। ভাড়ার বদলে সিএনজি চালককে হয়তো সেই আংটি দিয়েছে তাসফিয়া। নাকি এখানে অন্য কোন কারণ আছে? তা তদন্ত চলছে"।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের মতে, সেই সিএনজি অটোরিকশা চালক ও তাসফিয়ার আংটির সন্ধান পেলে এ আলোচিত হত্যাকাণ্ড তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।