ফরিদপুরে নারী-পুরুষের রহস্যজনক মৃত্যু
প্রকাশ | ০৭ মে ২০১৮, ১১:৪৯
ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকায় একজন পুরুষ ও নারীর মরদেহকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে রহস্য। ৬ মে (রবিবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটে থাকা ঐ দুজনের লাশ একই ফ্ল্যাট বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজন হলেন ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সহকারী শিক্ষক সাদিয়া বেগম (৩৪) ও সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখার প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ফারুখ হাসান (৩৮)। ফারুখ হাসানের ঘর থেকে এই দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ফারুখের গলায় দড়ি বাঁধা ও সাদিয়ার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার নূরুল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় তিনটি ফ্ল্যাট এর মধ্যে এক বছর আগে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন সাদিয়া বেগম (৩৪)। এখানে চাকরি করলেও সাদিয়া বেগম ঢাকার সূত্রাপুরের বাসিন্দা। সাদিয়া বেগম তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ফরিদপুর থাকতেন। তার স্বামীর নাম শেখ শহীদুল ইসলাম। তিনি ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় খুচরা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। অন্যদিকে এই বছর এপ্রিল মাসে ফারুখ হাসান (৩৮) নামে এক ব্যক্তি অপর একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তবে এক মাস আগে ভাড়া নিলেও চলতি মাসে ফারুখ হাসান ওই বাসায় ওঠেন। পরে তার পরিবার নিয়ে আসার কথা ছিল। ফারুখের বাড়ি যশোরের শার্শা এলাকায়।
পুলিশ আরো জানায়, গত বুধবার সাদিয়ার স্বামী শহীদুল ইসলাম ও তার ফুপু ফরিদপুরে আসেন। রবিবার সকালে তার স্ত্রী কলেজে যান। কিন্তু সন্ধ্যায়ও তিনি না ফেরায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শহীদুল।
এই সাধারণ ডায়েরির জের ধরেই পুলিশ সাদিয়ার খোঁজ শুরু করে। ঘটনাটি বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়। এদিকে রাত দশটার দিকে বাড়িওয়ালা ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুখ হাসানের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা থাকায় ভেতরে তিনি দুটি মৃতদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপুল চন্দ্র দে জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে দু'জনের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাদিয়া বেগমের স্বামী শহীদুল ইসলামকে থানায় নেওয়া হয়েছে।’