জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ | ০৩ মে ২০১৮, ১৪:০৩
![](/assets/news_photos/2018/05/03/image-15090.jpg)
জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে সমগ্র জাতিকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
৩ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে বাহিনীর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ, অপরাধ নির্মূলের মাধ্যমে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও বনদস্যু দমনে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশও দেন তিনি।
দেশজুড়ে একসময় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, অনেকে স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এটা বলে দিতে চাই, সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে র্যাবের বিশিষ্ট ভূমিকা ছিল। তাদের এ ভূমিকা প্রশংসনীয়।
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য অভিভাবক ও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও নজর রাখার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মাকে মনে রাখতে হবে, তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কী করছে, তা খেয়াল করার তারই দায়িত্ব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে হবে, যেন শিক্ষার্থীরা বেশিদিন অনুপস্থিত না থাকে। অনুপস্থিত থাকলে কেন ছিল, কোথায় ছিল তার খোঁজ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা তো ভুল পথ। এ ভুল পথে যেন ছেলে-মেয়েরা না যায়, সেজন্য সমগ্র জাতিকে সচেতন করতে হবে। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে। এরইমধ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সেজন্য সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিতও। অনেকে মনে করে, কিভাবে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সফল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের বাহিনীগুলোর পাশাপাশি জনগণও সচেতন ভূমিকা রেখেছে।
তিনি জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সুন্দরবন আমাদের কেবল ঐতিহ্যই নয়, আমাদের সম্পদ। সেখানে দীর্ঘদিন জলদস্যুদের ভয় ছিল। কিন্তু তারা ফিরে আসছে স্বাভাবিক জীবনে। এক্ষেত্রেও র্যাব ভূমিকা রেখেছে। জলদস্যুরা যদি আত্মসমর্পণ করে তবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নত করতে। দেশের কোনও মানুষ যেন অশিক্ষিত, বেকার, অন্ধকারে না থাকে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।