বরিশালে ছাত্রী গণধর্ষণের মূলহোতা রাব্বি ৮ মামলার আসামি
প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৩৭
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রাব্বি, সজিব ও মনির
মেস থেকে তুলে নিয়ে বরিশালের কাশীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা রায়হান মল্লিক রাব্বির (২৬) বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক আটটি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাব্বি নগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএম কলেজের প্রথম গেট সংলগ্ন মল্লিক প্লাজার বাসিন্দা বাবুল মল্লিকের ছেলে।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রায়হান মল্লিক রাব্বি (২৬), সাইফুল ইসলাম সজিব (২২) ও মনির শেখ (২৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগী নিজাম উদ্দিন ওরফে মিজানসহ (২২) চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে গণধর্ষণের ঘটনায় ২৭ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত মধ্যরাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মামলায় অভিযুক্ত চারজনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সত্যরঞ্জন খাসকেল।
গ্রেপ্তাকৃত আসামিদের মধ্যে মো. মনির শেখ বিএম কলেজের প্রথম গেট সংলগ্ন তালভিটা এলাকার ভাড়াটিয়া ইসমাইল শেখের ছেলে, সাইফুল ইসলাম সজিব (২২) বিএম কলেজের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র ও কলেজ রোড সিকদার ভিলা ছাত্র মেসের বাসিন্দা এবং বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর এলাকার জামান হাওলাদারের ছেলে। এছাড়া নিজাম উদ্দিন ওরেফে মিজান (২২) একই মেসের বাসিন্দা বিএম কলেজের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র। তবে এরমধ্যে মিজানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ না থাকলেও তিনি অপরাধ সংগঠিত করতে সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছেন এসআই সত্যরঞ্জন খাসকেল।
মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এএম রুহুল আমিন জানিয়েছে, পুলিশের জিঞ্জাসাবাদেও রাব্বীসহ তিনজনেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে।
ঘটনার বিবরণে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, ভিকটিমের বন্ধু ইমতিয়াজের মেসে ভিকটিম আসে প্রাকটিক্যাল খাতা নেওয়ার জন্য। সেসময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত মানিক ভিকটিমের বন্ধুকে মেসে আটকে রাখে এবং ঘটনার মূলহোতা রাব্বী ওই মেয়েটিকে (ভিকটিম) তার ছেলে বন্ধুর মেস থেকে তুলে রিকশায় করে সাইফুলের মেসে নিয়ে যায়। যেখানে প্রথমে রাব্বী পরে সাইফুল ও মানিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
তবে এর আগেই ভিকটিম ও ভিকটিমের বন্ধুর কাছ থেকে ৫ হাজার হাজার টাকা ও দু'টি মোবাইল সেট নিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এদের মধ্যে সেখানে তাকে ধর্ষণের পরে রাব্বী ও মানিক ওই ছাত্রীটিকে সাইফুলের মেসে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ছাত্রীর বন্ধুর কাছ থেকে পুলিশ খবর পেয়ে ২৭ এপ্রিল (শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করে।