পায়ে শিকল বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে নির্যাতন, শিক্ষক আটক
প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৩৮
পায়ে শিকল বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রী জিম আক্তার (১০)কে নির্যাতনের ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুল ইসলাম (৩৩) কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চলনালি গ্রামে।
উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসাছাত্রী জিম একই উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের মৃত আইনুল হকের মেয়ে।
উদ্ধার হওয়া শিশু জিম এবং আটককৃত শিক্ষক ইয়ারুলের বরাতে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ জানায়, চলনালি মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুল শিশুশিক্ষার্থী জিমকে ‘অবাধ্য’ হওয়ার কারণে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতেন। মাদ্রাসার নির্দিষ্ট একটি কক্ষ থেকে বের হতে দিতেন না।
দীর্ঘদিন এভাবে থাকার পর গত ২০ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে জিম মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পালিয়ে এসে চাঁচকৈড় বাজারের একটি দোকানের বারান্দায় এসে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় লোকজন সেখানে তাকে কাঁদতে দেখে পরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির কাছে সবকিছু শোনার পর ওই রাতেই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে জিমের মা মিনিয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সে মাদ্রাসায় থাকতে চাইত না। তবুও আমি জোর করেছি। তাই বলে শিক্ষকেরা তার মেয়েকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন, এটা তিনি জানতেন না।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, আটক শিক্ষক ইয়ারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।