রাজশাহীতে গ্রেপ্তারকৃত সাত জনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ
প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৮, ১৫:৩২
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার সাত জঙ্গিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
১৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে তাদের গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করে মামলাটি দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান। মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার ও দুইজনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, দুপুরে সাতজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। আগামী ২২ এপ্রিল (রবিবার) রিমান্ড আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
১৮ এপ্রিল (বুধবার) ভোরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ছয়ঘাটি গ্রাম থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় একই পরিবারের সাতজনকে। এদের মধ্যে পাঁচজন কলেজছাত্রী। সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গ্রেপ্তারকৃতদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানান রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হাসান আলী (৪৩), তার স্ত্রী সেফালী খাতুন (৩৫), তাদের দুই মেয়ে ফারিহা খাতুন কনা (১৭) ও হানুফা খাতুন (১৯) এবং হাসান আলীর ভাতিজি মৃত রেজাউল করিমের মেয়ে ফারজানা আকতার সুইটি (১৭), রাজিয়া সুলতানা তিশা (২২) ও রোজিনা সুলতানা কলি (২৫)।
পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ জানায়, গ্রেপ্তার হাসান আলীর দুই মেয়ে এবং তার ভাই রেজাউল করিমের তিন মেয়ে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে হানুফা খাতুন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির, নাদিয়া সুলতানা তিশা রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের এবং ফারিয়া খাতুন কনা, ফারজানা আক্তার সুইটি ও রোজিনা সুলতানা কলি গোদাগাড়ীর প্রেমতলি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এর সবাই ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নামে জঙ্গিবাদের প্রচার চালাচ্ছিল।