গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া্র অভিযোগ
প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ০০:১২
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে আসমা খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
১৬ এপ্রিল (সোমবার) সন্ধ্যায় উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের মাধবডাঙা গ্রামে নিজে বাড়িতে স্বামী বকুল হোসেন (৩৫) এ নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তার আসমার বাবা ইসমাইল হোসেন ও অন্য স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গৃহবধূ আসমা খাতুনকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রাতে ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিলো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারধর চলতো। বিভিন্ন সময় বকুল স্ত্রীকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করতেন বলে শোনা গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রায় ২০ দিন আগে স্বামী তার স্ত্রীর মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। এরপর মাথাই ন্যাড়া করে দেয়। ওই গৃহবধূ এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, মাধবডাঙা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেনের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে উপজেলার সদরপাড়া গ্রামের আসমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলো না। এ কারণে প্রায়ই দু’জনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছিলো। স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বকুল। বিরোধ মীমাংসা করতে একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়। কিন্তু তাতেও কোনো সমাধান মেলেনি। উল্টো বকুল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
গত ২৮ মার্চ আসমাকে মারপিট করতে থাকেন বকুল। একপর্যায়ে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন। মেয়েকে নির্যাতনের খবর শুনে বাবা ইসমাইল দেখা করতে এলেও সুযোগ দেননি বকুল। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন ইসমাইল।
ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি তার মেয়েকে নির্যাতনকারী স্বামী বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে বকুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খুশকি হওয়ার কারণে তার স্ত্রী মাথা ন্যাড়া করেছে। তবে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হলেও স্ত্রীকে কখনও নির্যাতন করা হয়নি।