'সড়কে ১০০%, নৌপথে ৮৬.৪% নারী যৌন হয়রানির শিকার’
প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০১৮, ২১:০০
‘গণপরিবহনে নারীদের যৌন নির্যাতন ও হয়রানি’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে সড়কপথে যাতায়াত করা শতভাগ নারীই যোউন হয়রানির শিকার হন। অন্যদিকে নৌপথে এই হার ৮৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চে যাতায়াতকালে ৮৬ দশমিক ৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বরিশাল ইয়ুথ সোসাইটি (বিওয়াইএস) এবং ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশের আয়োজনে ১১ এপ্রিল (বুধবার) বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তরুণদের একটি সমীক্ষা চিত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বরিশাল ইযুথ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও গবেষণার সমন্বয়কারী ফয়েজ বেলাল।
ফয়েজ বেলাল বলেন, উদ্বিগ্নতা থেকেই আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশেষভাবে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। একটি সামাজিক সমীক্ষা চালিয়ে। আমরা গণমাধ্যম পর্যবেক্ষন করেছি। সড়ক পথ ও নৌপথে যাতায়াতকারী মোট ৭৮৭ জন নারীর সাক্ষাতকার নিয়েছি। ১২ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের নিয়ে এ সমীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮৭ জন নারী সড়ক পথে পরিবহন নিয়ে কথা বলেছেন এবং দক্ষিণবঙ্গের ৫০০ জন নারী বলেছেন নৌ পথ নিয়ে।
এর মধ্যে সড়কপথের চিত্র অনুযায়ী শতভাগ নারী বলেছেন তারা গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হন। আর নৌপথ লঞ্চে যাতায়াতকারী ৫০০ জন নারীর মধ্যে ৮৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী বলেছেন তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়। তবে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ নারী এ বিষয়ে উত্তর দেয়নি।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ নারী যাত্রীকে বাজে কথা বলে হয়রানি করা হয়। পাশাপাশি গায়ে হাত দিয়ে হয়রানি করা হয় ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ নারীকে। নারীদের ছবি তোলার মাধ্যমে হয়রানি করা হয় ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং বাজে (অশ্লীল) অঙ্গভঙ্গি করে ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ নারীকে হয়রানি করা হয়।
লঞ্চে যে সব নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে তাদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ নারী মৌখিক প্রতিবাদ করেছে। তবে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। যৌন হয়রানির শিকার হয়ে যেসব নারী প্রতিবাদ করেছেন, তাদের দেখে পাশা থাকা ১১ শতাংশ যাত্রী প্রতিবাদ করেছে। অন্য ৬০ শতাংশ যাত্রী কোনো প্রতিবাদ করেনি। ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ যাত্রী প্রতিবাদকারী নারীর ওপর বিরক্তবোধ করেছে। আবার লঞ্চের কর্মচারীরা ৫ দশমিক ১ শতাংশ নারীকে সাহায্য করেছেন। কিন্তু ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ নারী কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি।